পাইলস্ রোগে করণীয়ঃ
১। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
২। অত্যাধিক পরিশ্রম করা যাবে না।
৩। পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।
৪। কোষ্ঠকাঠিন্য অর্থাৎ পায়খানা যেন কষা না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
৫। নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট অথবা কাছাকাছি সময়ে মলত্যাগ করতে হবে।
৬। এমন খাবার গ্রহণ করতে হবে যা সহজে হজম হয়।
৭। নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা পায়খানার কষাভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
৮। অনেকসময় ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা থাকা যাবে না।
৯। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
১০। টয়লেটে অধিক সময় ব্যয় করা যাবে না।
১১। শরীরের ওজন বেশি হলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
১২। মল ত্যাগের সময় বেশি চাপ দেয়া যাবে না।
১৩। দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা থাকলে তার চিকিৎসা নিতে হবে।
১৪ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া লেকজেটিভ অধিক পরিমানে গ্রহণ করা যাবে না।
অর্শ বা পাইলসে্র চিকিৎসা সাধারনত পর্যায়ের ওপর নির্ভর করে করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, পাইলসে্র চিকিৎসায় কোনও অস্ত্রোপচার লাগে না। বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাইলসে্র চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। সাধারনভাবে চারটি পর্যায়ে পাইলসে্র চিকিৎসা করা হয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও অস্ত্রোপচার লাগে না কিন্তু তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়ে অস্ত্রোপচার লাগে। কারন- তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়ে জিনিসটি যেহেতু বের হয়ে আসে এটি অস্ত্রোপচার করেই সরাতে হয়। রোগী যদি দেরি না করে তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার ছাড়াই চিকিৎসা করা সম্ভব। পাইলসে্র আধুনিক চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই সম্ভব। লেজার পাইলস্ সেন্টার দিচ্ছে পাইলস্ রোগের আধুনিক সব চিকিৎসা।
লেজার পদ্ধতির সুবিধা সমূহঃ
১। ব্যাথা কম হয়।
২। দ্রুত আরোগ্য লাভ।
৩। দ্রুত কাজে যোগদান।
৪। কম সময় হাসপাতালে অবস্থান।
৫। অপারেশনের সময় কম লাগে।
৬। দাগ কম থাকে।
৭। বার বার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে ।
লেজারের মাধ্যমে যে সকল আপারেশন করা হয়:
১। লেজারের মাধ্যমে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে পাইলস্ অপারেশন (LHP)
২। লেজার পদ্ধতিতে গেজ (Anal Fissure) এর অপারেশন (LIS)
৩। লেজার পদ্ধতিতে পিস্টুলা রোগের অপারেশন (FiLaC, DLPL)
৪। পাইলোনিডাল সাইনাস এর অত্যাধুনিক অপারেশন (LPP)
৫। লেজারের মাধ্যমে পায়ের রগ ফুলে যাওয়া (VERICOSE VEIN) এর অপারেশন